অদ্য ৩১/১০/২০২০ খ্রি. যথাযথ মর্যাদায় বর্ণিল ও আনন্দঘন পরিবেশে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ থানায় একযোগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০ উদযাপন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সকল সদস্য এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০ এর কোতয়ালী থানা কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় রংপুর জেলা স্কুল এর মাঠে। বেলুন উড়িয়ে এবং কেক কেটে উক্ত অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএম মহোদয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি পুলিশ কমিশনার, জনাব মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএম, বিশেষ অতিথি উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মহিদুল ইসলাম ও কমিউনিটি পুলিশিং, কোতয়ালী থানা সভাপতি জনাব এ্যাডভোকেট আব্দুল হক প্রমাণিক উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি পপুলিশিং রংপুর মেট্রোপলিটন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোছাদ্দেক আলী বাবলু, বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে মত বিনিময় করেন।
কোতয়ালী থানার পাশাপাশি হারাগাছ থানার কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিঃ পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু সুফিয়ান এবং বিশেষ অতিথি অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিবি) জনাব উত্তম প্রসাদ পাঠক, মাহিগঞ্জ থানায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব মোঃ কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান, পরশুরাম থানায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) জনাব মোঃ আবু মারুফ হোসেন, হাজিরহাট থানায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মোঃ মেনহাজুল আলম, তাজহাট থানায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (এস্টেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট) জনাব মোঃ আবু সাইম এবং সকল অফিসারের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন এর সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অফিসারবৃন্দ।
কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০ উপলক্ষ্যে মুজিববর্ষে পুলিশ সদস্যরা জনতার পুলিশে পরিণত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর মাধ্যমে পুলিশ সদস্যগণ জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনতার পুলিশে পরিণত হবে বলে ধারণা ব্যক্ত করা হয়।
আধুনিক কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাপনায় জনগণের সঙ্গে প্রাণবন্ত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক সমস্যাদির উৎস উদ্ঘাটনপূর্বক তা সমাধান ও অপরাধ ভীতি হ্রাস করে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।