প্রেস রিলিস
০৫/০২/২০২৫ খ্রিঃ, মঙ্গলবার
RPMP media cell
গত ০৪/০২/২০২৫ খ্রিঃ “দৈনিক বায়ান্নর আলো” পত্রিকায় প্রকাশিত “রংপুর বিট্রিশ টোবাকো ম্যানজারের লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক তদন্তে ”ঘটনাটি মিথ্যা প্রতিয়মান হয়”
অভিযোগকারী মোঃ শামিম(২৫), পিতা-রহমতুল্লাহ, সাং-মাঞ্জাই, ওয়ার্ড নং-৩২, থানা-মাহিগঞ্জ মেট্রো, রংপুর মহানগর লিখিত অভিযোগে জনান যে,গত ০৩/০২/২০২৫ খ্রিঃ সন্ধা অনুমান ০৬.৪৫ ঘটিকায় কোতয়ালী থানাধীন বেতপট্টি জলযোগ হোটেলের সামনে পাকা রাস্তা পায়ে হেটে অতিক্রম করা কালে অভিযোগকারীর সম্মুখ দিয়ে আসা ০২ জন মোটরসাইকেল আরোহী অতির্কিত ভাবে তার মাসনে এসে মোটরসাইকেলের পিছনে বসা জন অভিযোগকারীর গলা রাস্তার দিকে ঠাসিয়া ধরিয়া তার কাধে ঝোলানো ব্যাগ সহ তাতে থাকা ১,২০,০০০/-(এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা ছিনতাই করে দ্রুত ঘটনাস্থল মোটরসাইকেল যোগে ত্যাগ করেন।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ৪/২/২০২৫খ্রিঃ সকাল ১১.০০ ঘটিকায় সঙ্গীয় অফিসার ও বাদীসহ ঘটনাস্থলের আশে-পাশের বিভিন্ন দোকান থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেন। বাদীর দেওয়া তথ্য ও সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেতপট্টিস্থ "জলযোগ" থেকে স্বর্ণপট্টির দিকে মোড়ে চার-দিকে চারটি রাস্তা। ঘটনাস্থল থেকে মোড় পর্যন্ত কোন সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যায় নাই। মোড় থেকে দেওয়ানবাড়ি রোডের সিসিটিভি বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, বাদীর দেওয়া সময় ও তথ্যের সাথে কোন মিল পাওয়া যায় নাই। মোড় থেকে জেলা পরিষদ সুপারের মার্কেটের রাস্তার "দাওয়াত রেস্তোরা" এর সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায় বাদীর দেওয়া তথ্যের সাথে কোন বাইক পাওয়া যায় নাই। মোড় থেকে সেন পাড়ার রাস্তায় আরএম সেন্টারের সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাদীর দেওয়া তথ্যের কোন মিল নাই।
তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় ফুটপাতের কয়েকজন দোকানদারকে এবং জলযোগের পানের দোকানদার কে উক্ত বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ডিমে দোকানদার মো: মোমিনুল ইসলাম কাব্য (১৮), পিতা- আসাদুল হাবীব দুলু, সাং- মুন্সিপাড়া কবরস্থান, থানা- কোতয়ালী, আরপিএমপি, রংপুর, জানায় যে, ঘটনার দিনে ঘটনাস্থল তাহার দোকান ১০-১৫ মিটার দূরে অবস্থান করলেও উক্ত বিষয়ে কিছুই বলতে পারে না; কিন্তু ফেসবুকে DRB নিউজে দেখে যে, তার দোকানের পাশেই উক্ত ঘটনা ঘটে।
বাদীর উপস্থিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে পানের দোকানদার মো: মনোয়ার হোসেন (৫৯), পিতা- আব্দুল খালেক, সাং- টার্মিনাল ডাঙ্গিরপাড়া, থানা- কোতয়ালী, আরপিএমপি, রংপুর, জানায় যে, সে উক্ত বিষয়ে কিছুই জানে না। তদন্তকারী কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত বিষয়টি জানতে পারে।
বাদীর উপস্থিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে "জলযোগ" এর পানের দোকানদার মো: জাভেদ আলী (৫০), পিতা-মো: শফি, সাং- সাতমাথা বটের তল, থানা- মাহিগঞ্জ, আরপিএমপি, রংপুর জানায় যে, সে উক্ত বিষয়ে কিছুই জানে না। কিন্তু পরে জানতে পারে যে, বাদীর সাথে উক্ত ঘটনা ঘটছে। অথচ ঘটনাস্থল উক্ত দোকানদারে সামনেই। ঘটনার দুই মিনিট আগে বাদী উক্ত দোকান থেকে টাকা কালেকশন করে নেয়।
পরবর্তীতে অভিযোগকারী লিখিতভাবে জানান যে, “* আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোতয়ালী মেট্রো থানা পুলিশ ব্যাপক তদন্তে আমার অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। মূলত উক্ত টাকাগুলো আমি মার্কেট থেকে কালেকশন করা পর হারিয়ে ফেলি। তার কোম্পানির কাছে টাকার দায় হয়ে মুক্তির জন্য উক্ত ঘটিনাটি সাজাই।*
উক্ত অভিযোগের বিষয়ে থানা পুলিশ ও তার কোম্পানির লোকজনদের ইচ্ছাকৃত হয়রানি করেছে মর্মে মিথ্যা অভিযোগটি প্রত্যাহার করেন।