অদ্য ১৪ /০৭/২০২০ সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মো: আবু মারুফ হোসেন এর তত্বাবধানে অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম-সেবা এবং অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব উত্তম প্রসাদ পাঠক এর নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর রাজেশ কুমার, ইন্সপেক্টর মোঃ ফিরোজ হোসেন এবং সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মোঃ জাহিদুন্নবি সোহেল (৩২) খুনের ঘটনার ৩ জন আসামী গ্রেফতার করেন।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, গত ১১/৭/২০২০ তারিখ স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে মোঃ জাহিদুন্নবি সোহেল (৩২) কে বা কারা খুন করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আরপিএমপি কোতয়ালী থানা মামলা নং-২৩ তারিখঃ১২/৭/২০২০ ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
পরবর্তীতে উক্ত খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং আসামী গ্রেফতারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কাজ শুরু করেন।
এক পর্যায়ে আরপিএমপি গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)‘র অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব উত্তম প্রসাদ পাঠক এর নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর রাজেশ কুমার, ইন্সপেক্টর মোঃ ফিরোজ হোসেন এবং সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স উক্ত খুনের ঘটনার সাথে যুক্ত ০২ জন আসামী ১) মোঃ বরকত উল্ল্যাহ(১৮), পিতা-মোঃ আব্দুর রশিদ, এমএলএসএস, রঃমেঃকঃ, বাসা-১৬ নং কোয়াটার এর ১ম সিঁড়ি ৩য় তলা পশ্চিম পার্শ্বে হতে এবং ২) আনাম হোসেন আফ্রিদি (১৯), পিতা-মোঃ মিল্টন মিয়া, সাং- মেডিকেল পুর্বগেইট, উভয় থানা- কোতয়ালী, আরপিএমপি, রংপুরদের গ্রেফতার করেন।
একই সাথে অপর দলটি অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে ডিবি’র ইন্সপেক্টর রাজেশ কুমার, ইন্সপেক্টর মোঃ ফিরোজ হোসেন এবং ডিবি’র সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স কোতয়ালী থানাধীন শিমুলবাগ এলাকার নীলকন্ঠ মসজিদের নিকট হতে ৩) মোঃ আসিফ মিয়া অপু (২২), পিতা- মোঃ সোলেমান হোসেন কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে খুনের সাথে সম্পৃক্ততা কথা স্বীকার করে। তারা আরো জানায়, পুর্ব শত্রুতার জের এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাহিদুন নবী সোহেল (৩২)কে খুন করেছে।
০৩ জন আসামীকে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আমলী আদালত কোতয়ালী রংপুর হাজির করলে আসামীগন কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
মামালার তদন্তের স্বার্থে জড়িত অন্যান্য খুনি/আসামীদের নাম এই মুহুর্তে প্রকাশ করা হচ্ছে না। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে ও অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।