অদ্য ২৫/১০/২০২১ খ্রি. গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান মহোদয়ের নির্দেশনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এর অপারেশন পরিকল্পনা এবং নেতৃত্বে মহানগরীর হারাগাছ ও কোতয়ালী থানা এলাকায় ২ টি ঔষধ কোম্পানীতে অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১৫ লক্ষ টাকার ঔষধ জব্দ করা হয়।
১ম অভিযানে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব মোঃ মোতালেব হোসেন, এসআই (নিঃ) মোঃ নাজমুল ইসলাম, এসআই (নিঃ) তছলিম উদ্দিন আহমেদ ইসলাম, এসআই (নিঃ) স্বপন কুমার এবং সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ হারাগাছ থানাধীন ৯ নং ওয়ার্ডস্থ বাহার কাছনায় অবস্থিত ‘বি সান্ত ল্যাবরেটরিজ ইউনানী ফ্যাক্টরি’তে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখা যায় যে-
ক) উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিবেশের ছাড়পত্র নাই, খ) ঔষধ প্রস্তুতকারী শ্রমিকদের হাতে হ্যান্ড গেøাভস ও মাস্ক পরিহিত দেখা যায় নাই।
গ) ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র নাই, ঘ) ঔষধ তৈরির কাঁচামাল সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয় না।
ঙ) শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা যেমন মাস্ক, গেøাভস, এ্যাপ্রোন পরিহিত ছিল না, চ) অনুমোদনের বাহিরে ঔষধ উৎপাদন এবং ছ) কেমিস্ট নাই।
উল্লিখিত অপরাধের দায়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় রংপুর এর সহকারী পরিচালক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব কাশপিয়া তাসরিন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ঔষধ আইন ১৯৪০ এর ১৮(ক) ও (গ) ধারা মোতাবেক উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক রাশেদুল আনাম প্রামানিক (৩০), সাং- পায়রা চত্ত¡র, থানা-কোতয়ালী, রংপুর মহানগর, রংপুর-কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন এবং ত্রুটি সংশোধন না করা অবধি ফ্যাক্টরিটির সকল কার্যক্রম ও উৎপাদন বন্ধ রাখার আদেশ দেন।
২য় অভিযানে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব মোঃ মোতালেব হোসেন, এসআই (নিঃ) মোঃ নাজমুল ইসলাম, এসআই (নিঃ) তছলিম উদ্দিন আহমেদ ইসলাম, এসআই (নিঃ) স্বপন কুমার এবং সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ কোতয়ালী থানাধীন ২৫ নং ওয়ার্ডস্থ নিউ শালবনে অবস্থিত ‘দি মৌভাষা ইসলামিয়া ঔষধ ফ্যাক্টরি’তে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখা যায় যে-
ক) উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিবেশের ছাড়পত্র নাই, খ) ঔষধ প্রস্তুতকারী শ্রমিকদের হাতে হ্যান্ড গেøাভস ও মাস্ক পরিহিত দেখা যায় নাই।
গ) ঔষধ তৈরির কাঁচামাল সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয় না, ঘ) শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা যেমন মাস্ক, গেøাভস, এ্যাপ্রোন পরিহিত ছিল না।
ঙ) অনুমোদনের বাহিরে ঔষধ উৎপাদন, চ) কেমিস্ট নাই, ছ) ঔষধ উৎপাদনের কাঁচামালের গায়ে মেয়াদ বা ব্যবহার বিধি নাই এবং
জ) বোতলের গায়ে লাগানো লেভেল ও টোকেন সঠিক নাই।
উল্লিখিত অপরাধের দায়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় রংপুর এর সহকারী পরিচালক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব কাশপিয়া তাসরিন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ঔষধ আইন ১৯৪০ এর ১৮(ক) ও (গ) ধারা মোতাবেক উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক আলহাজ এমদাদুল ইসলাম (৬৫), পিতা- মৃত আলহাজ এমারত উল্ল্যাহ প্রামানিক, সাং-নিউ শালবন মৌভাষা গলি, ওয়ার্ড নং-২৫, থানা- কোতয়ালী, রংপুর মহানগর, রংপুর-কে ৭ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন এবং ত্রুটি সংশোধন না করা অবধি ফ্যাক্টরিটির সকল কার্যক্রম ও উৎপাদন বন্ধ রাখার আদেশ দেন।