ঘটনা-১ঃ অদ্য ০৯-০৫-২০২১খ্রিঃ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ এর সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব মোঃ ফারুক আহমেদ এর অপারেশন পরিকল্পনায় পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ ছালেহ্ আহাম্মদ পাঠান সাহেবের নেতৃত্বে এসআই/ মোঃ বাবুল ইসলাম, এসআই(নিঃ)/মোঃ আবু ছাইয়ুম তালুকদার এবং অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সসহ আরপিএমপি রংপুর কোতয়ালী থানাধীন ফায়ার সার্ভিস মোড়স্থ এসএ পরিবহন পার্সেল অফিসের সামনে চলাচলের পাকা রাস্তার উপরে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমানে মুরাদ বিড়ি নামক বিড়ি উৎপাদন, মজুদ এবং নকল সাদৃশ্য জাল ব্যান্ডরোল উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মালামাল গুলোর বর্ণনা- সর্বমোট ০৬ (ছয়) টি কার্টুনে মোট ৪৬৫ (চারশত পয়ষট্টি) বান্ডিল, প্রতি বান্ডিলে ২০ (বিশ) প্যাকেট করে মোট (৪৬৫x২০)=৯৩০০ (নয় হাজার তিনশত) প্যাকেট, প্রতি প্যাকেটের গায়ে ০১ (এক) টি করে জাল সদৃশ্য ব্যান্ডরোল সংযুক্ত আছে। মোট জাল ব্যান্ডরোল ৯৩০০ (নয় হাজার তিনশত) টি, ব্যান্ডরোলের মূল্য (৯৩০০x৯.৭১)=৯০৩০৩/- (নব্বই হাজার তিনশত তিন) টাকা, মোট বিড়ির মূল্য (৯৩০০x১৮)= ১,৬৭,৪০০/- (এক লক্ষ সাতষট্টি হাজার চারশত ) টাকা, প্রতিটি বিড়ির প্যাকেটের গায়ে মুরাদ বিড়ি ও নিবন্ধন নং-০০২৮৭৮১৪৩- ১০০১-১০০১ লিখা আছে। উল্লেখ্য যে, উক্ত ব্যান্ডরোলগুলো সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম- মোঃ আজাদ মিয়া (৪৫), পিতা-মৃত সেরাজ মিয়া, মাতা-মৃত আলেমা বেগম, সাং-চান্দকুঠি ওয়ার্ড নং-৪, থানা-হারাগাছ, মহানগর রংপুর।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আরপিএমপি রংপুর কোতয়ালী থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-ক/২৫-ক(খ) ধারায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান।
উক্ত অপরাধের সাথে জড়িত সদস্যদের তদন্তের মাধ্যমে খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।